শ্রদ্ধা নিবেদনে প্রস্তুত হচ্ছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ৪৯তম বিজয় দিবস উপলক্ষে আগামী ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতি শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করবে বীর শহীদদের। সেজন্য ধুয়ে মুছে রং তুলির আচরে প্রস্তুত করা হচ্ছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ।

বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে এ বছর ২৬ মার্চে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে পারেননি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ কেউই। এ বছর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে না এলে তাদের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিরা শ্রদ্ধা জানাবেন বলে জানিয়েছে গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা।

করোনার প্রভাব একটু কমে আসায় সাধারণ মানুষের জন্য সীমিত আকারে খোলা থাকবে বীর শহিদদের রক্তে গাথা এই স্মৃতিস্তম্ভ। ভিআইপিরা শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে চলে যাওয়ার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২০০ জনকে গ্রুপ করে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য নিবেদনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে সাধারণ জনগণ।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে সাভারের নবীনগরে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে গিয়ে গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দম ফেলানোর ফুরসত নেই এমন কর্মযজ্ঞ চলতে দেখা গেছে।

আরও দেখা গেছে, স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটক ও দ্বিতীয় ফটকের সামনে সড়কের ডিভাইডারের রং করা হচ্ছে। ফটকগুলোর ভেতরে জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবহার করতে বড় করে মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। স্মৃতিসৌধের ভেতরে ঢুকতেই চোখে পরেছে বিভিন্ন রংয়ের আলোকসজ্জার বাতি, গাছের নতুন টব। আর পাইপের পানি দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে এই প্রাঙ্গণের পুরো জায়গা। এক কথায় বলা চলে বাঙালি জাতির শ্রদ্ধা পেতে প্রস্তুত হচ্ছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ।

ধোয়া মোছার কাজ করছেন কামাল হোসেনসহ তিন-চারজন। কামাল হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকা ধুয়ে মুছে পরিষ্কার পরিছন্ন করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে আলোকসজ্জা লাগানোর কাজ চলছে। আগামী দুই দিনের মধ্যে কাজ শেষ হবে।

১৫ বছর ধরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে রং দেওয়ার কাজ করেন আব্দুল জলিল। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর ও ২৬ মার্চ আমরা রংয়ের কাজ করে থাকি। এছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমরা কাজ করে থাকি। আমি পরিবার নিয়ে এখানেই থাকি।

জাতীয় স্মৃতিসৌধের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) হারুনুর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, জাতীয় স্মৃতিসৌধে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা করার জন্য। সব বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ করছি। আগামী দুই-এক দিনের ভেতর তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হবে। সেই সঙ্গে নতুন করে কেউ স্মৃতি সৌধের আশপাশের এলাকায় আশ্রয় নিতে পারবে না। নিরপত্তার জন্য এবার স্মৃতিসৌধ এলাকার ৩২টি পয়েন্টে সিসিটিভি ক্যামেরা যুক্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ গণপূর্ত বিভাগের ঢাকা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, অনেক আগে থেকেই মহান বিজয় দিবস উদযাপনের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে কাজ করে যাচ্ছে আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আশাকরি আগামীকাল ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পুরোপুরি প্রস্তুত হবে। জনসাধারণের প্রবেশ ১৫ তারিখ পর্যন্ত পুরোপুরি নিষেধ। করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবকিছু করা হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর